এইচ,এম,সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম টমের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও অফিস কক্ষে পর্ন ভিডিও তৈরীর অভিযোগে গতকাল কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক , পুলিশ সুপার , জেলা শিক্ষা অফিসার ও দুদকের উপ-পরিচালকের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম টম দীর্ঘদিন যাবত তার নিজ কর্ম প্রতিষ্ঠানে নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতি ও পর্ণ ভিডিও তৈরির মতো জঘন্যতম কাজ করে আসছেন। যা কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টারকেও হার মানিয়েছে । শুধু দুর্নীতিই নয় এই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় হোস্টেলের নামে একটি মাদক ও পর্ন ভিডিও তৈরির আখড়াও তৈরি করেছেন । প্রধান শিক্ষকের নিজ অফিসকক্ষে উক্ত বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ও ছাত্রীর অসামাজিক কার্যকলাপের পর্ন ভিডিও ধারন করেন প্রধান শিক্ষক নিজে । প্রধান শিক্ষক উঠতি বয়সী কিছু ছাত্র তার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় তার নিজ খরচে রেখে তাদের দিয়ে নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও তৈরি ও মাদক কারবার চালাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক নিজেও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় দিনের অধিকাংশ সময়ই তিনি বিদ্যালয়ের হোস্টেল নামের এই আখড়াতে তিনি রাত কাটান। এছাড়াও তিনি তার স্ত্রী জোহরা খাতুন কে এই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি দিয়ে ডিউটি না করেই বেতন প্রদান করে থাকেন। তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না তারপরেও স্বাক্ষর হয়ে যায় তার হাজিরা খাতায়। এই বিদ্যালয়ে চলতি বছর২০২২ এ ছাত্র-ছাত্রীর বেতন পরীক্ষার ফিস ও ভর্তি ফিস বাবদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন হলেও বিদ্যালয়ের একাউন্টে রাখা হয়নি ১ টাকাও। পুরো টাকায় তিনি পকেটস্ত করেছেন। ভুয়া বিল ভাউচারে সমন্বয় করতে সিদ্ধহস্ত। ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে থেকে যে বেতন, ফিস উত্তোলন করেন তার কোন মানি রিসিট প্রদান করেন না প্রধান শিক্ষক। এই বিদ্যালয়ের ২২ বিঘা জমি থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ইজারা থেকে আসে সেটারও নেই কোন হিসাব। আবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত মার্কেটের দোকান ঘর ভাড়া ও সবজি বাজার ইজারা থেকে যে টাকা আসে সেগুলোরও নেই কোন হিসাব। সবই তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন বছরের পর বছর। জানা যায় এই বিদ্যালয়ের যে সকল সহকারী শিক্ষকেরা চাকুরি করেন তাদের কেউ কেউ ৩০ মাসের, কেউ ৪০ মাসের, আবার কারও ৫০ মাসের স্কুল বেতন বকেয়া রয়েছে। জনমনে প্রশ্ন বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা যাচ্ছে কোথায়? জেলায় শিক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের না পাঠিয়ে তার স্থলে লাইব্রেরিয়ান স্ত্রীকে ওই প্রশিক্ষণে পাঠিয়ে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের সকল অপকর্মের দোসর Rab এর গাড়িতে বোমা হামলাকারী ও রোড ডাকাত, মাদক কারবারীকে বারবার কমিটির সভাপতি করে থাকে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম টমের পাহাড় সমান অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিতভাবে দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আপডেট বার্তা24 এ প্রকাশিত কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Hello updatebarta24.com administrator, You always provide helpful diagrams and illustrations.